প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন নওশাবা
ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক
ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর মামলায় রিমান্ড শেষে জামিনে মুক্তি পাওয়া অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেসবুকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন ‘মেয়ের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ’ করে দেয়ার জন্য।
সেইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কারা কতৃর্পক্ষ ও হাসপাতালের সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রতিটি স্তরে ‘সহমমির্তার সঙ্গে হেফাজত’ করেছেন বলে।
ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার নওশাবার স্বামী এহসান রহমান জিয়ার ফেসবুক ওয়ালে ধন্যবাদ জানিয়ে ওই বাতার্ আসে।
নওশাবার ওই বাতার্য় বলা হয়, ‘আমার একমাত্র কন্যা প্রকৃতির সঙ্গে ঈদের আনন্দ পরিপূণর্ভাবে অনুভব করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর উপযুক্ত ভাষা আমার জানা নেই।
‘তিনি বাংলাদেশের ষোলো কোটি মানুষের একজন পরীক্ষিত, প্রকৃত ও সুযোগ্য অভিভাবক, এই ভূমিকার বাইরেও তিনি যে একজন মমতাময়ী মা, তা আবারও আমি নিজে একজন মা হিসেবে হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে বুঝতে পারলাম।’
শিক্ষাথীের্দর আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় গত ৪ আগস্ট গ্রেপ্তার হন অভিনেত্রী নওশাবা।
ওইদিন আন্দোলনের মধ্যে ঢাকার জিগাতলায় সংঘষর্ বাধলে ফেসবুক লাইভে এসে দুই শিক্ষাথীর্র মৃত্যু এবং একজনের চোখ তুলে ফেলার ‘খবর’ দেন নওশাবা, যা পরে গুজব প্রমাণিত হয়।
র্যাব ওই দিনই নওশাবাকে আটক করে তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে। ওই মামলায় দুই দফায় মোট ৬ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাও দেয়া হয়। পুলিশের ভাষ্য, নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোই’ নওশাবার উদ্দেশ্য ছিল এবং তা তিনি জিজ্ঞাসাবাদে ‘স্বীকার করেছেন’।
একবার জামিন আবেদন নাকচের পর কোরবানি ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার আবারও আবেদন করা হলে নওশাবার জামিন মঞ্জুর করে ঢাকার একটি আদালত। সেদিন সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
জিয়ার ফেসবুক ওয়ালে নওশাবার পক্ষে দেয়া বাতার্য় পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ, সাইবার ক্রাইম ইউনিট আর কাশিমপুর কারাগারে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিটি সদস্য, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নাসের্দর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। বলা হয়, ‘যারাই আমাকে অনেক প্রফেশনালিজম আর সহমমির্তার সঙ্গে প্রতিটি স্তরে হেফাজত করেছিলেন, তাদের প্রতিও আমার আকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা।’ পরিবারের পাশে থেকে ‘ক্রমাগত সাহস আর আশ্বাস’ দেয়ার জন্য অভিনয় শিল্পী সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষাথীর্, গণমাধ্যমকমীর্, বাংলাদেশের সকল শিশু আর শুভাকাক্সক্ষীদেরও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে ওই বাতার্য়। সেখানে বলা হয়, ঈদের আগের দিন জামিন দেয়ার মাধ্যমে দেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ তার ‘মানবিকতার উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন’ করা হয়েছে।